প্রচারপর্ব শেষ হলেও বিরোধীরা মোদির এই সুচিন্তিত পরোক্ষ প্রচারের বিরোধিতা করে ইসির দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু গত ১০ বছরে কমিশন যা করেনি, এবারেও সেই ধারাবাহিকতা তারা বজায় রাখল। জানিয়ে দিল, ধ্যান করার সিদ্ধান্ত আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল নয়। বিরোধীরা এ কথাও বলেছিল, প্রধানমন্ত্রী ধ্যান করতেই পারেন, কিন্তু তা যেন প্রচার করা না হয়। ক্যামেরার উপস্থিতির ওপর যেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নির্বাচন কমিশন সেই দাবিও অগ্রাহ্য করেছে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অবশ্য সমালোচনা বন্ধ করেননি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শুক্রবারই তিনি বলেন, ঈশ্বরের আরাধনা করতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী করতেই পারেন। তবে তা নিজ গৃহে করুন। রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মেশাবেন না। সেটা অধর্ম।
ধর্ম-অধর্মের এই ফারাক বিজেপি কানে তুলতে নারাজ। প্রতিবারের মতো এবারের ভোটেও মোদি তাই ধর্মীয় মেরুকরণে সচেষ্ট। নির্বাচন কমিশনও তাঁর বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই আমলে নেয়নি। শনিবার শেষ পর্বের ভোট তাই শুরু হতে চলেছে ওই বিতর্কে মাখামাখি হয়ে। তবে বিতর্ক শুরু করলেও প্রধানমন্ত্রী নিজে তাতে যোগ দিচ্ছেন না। ধ্যান চলাকালে ৪৮ ঘণ্টা তিনি মৌনব্রত পালন করবেন বলে আগেই জানিয়েছেন।
إرسال تعليق